সমবায় সমিতি - "সমবায়ই শক্তি সমবায়ই মুক্তি"। - TechnicaLbd

সমবায় সমিতি
সমবায় সমিতি  

সমবায় সমিতি - "সমবায়ই শক্তি সমবায়ই মুক্তি"।



সমবায় সমিতি কি? বা এই সমিতির কাজ কি? এইসব বিষয়ে কি আপনি জানেন?
বাংলাদেশের ৮০% জনগণ সমবায় সমিতি নিয়ে জানেনা। তার মধ্যে হয়তো আপনিও থাকতে পারেন।
তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে, আজকেও আপনি সমবায় সমিতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন না। তবে অবশ্যই এসব বিষয়ে সাধারণ ধারণা অর্জন করতে পারবেন। আমি আজকে পরিচিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো না। তবে আপনি যদি টেকনিক্যাল বিডি এর সাথে থাকেন, তাহলে আপনি জানতে পারবেন।

সমবায়ই শক্তি সমবায়ই মুক্তি’ স্লোগান সামনে রেখে প্রতি ২ নভেম্বর পালিত হয় জাতীয় সমবায় দিবস। 

বাংলাদেশের উন্নতিতে এই সমবায় সমিতি ব্যাপকভাবে অবদান রাখতে পারে বলে আমরা মনে করি, শুধু মনে করি তা নয়, জনপ্রিয় ও সবচেয়ে বড় বড় সব কোম্পানি গুলো আসে বেশির ভাগ সমবায় সমিতি এর মাধ্যমে। সমবায় সমিতির মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ এক হয়ে একটি চক্র বা বৃত্তের মধ্যে আবদ্ধ হতে পারে বা চক্র বা বৃত্তের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে সকল বাঁধাকে উপেক্ষা করে সমবায় সমিতি গঠিত হয়। সমবায় সমিতি এর প্রতিটি সদস্যের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয় এক করে একটি বড় মূলধন তৈরি করা যেতে পারে বা বড় বড় মূলধন তৈরি করে এতো সব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে। সমবায় সমিতির এই মূলধন দ্বারা সমিতির সদস্যরা কোনো বড় কার্য সম্পাদন করতে পারেন। সমবায় সমিতির সকল সদস্যদের অবশ্যই নিবেদিতপ্রাণ হতে হবে। সমিতিতে প্রত্যেক সদস্যদের সঞ্চয় ঠিকমতো দিতে হবে এবং বিভিন্ন গঠনমূলক আলোচনা বা বিভিন্ন সভা মজলিসে অংশগ্রহণ করতে হবে। যেসব সদস্যের প্রকৃতই ঋণ দরকার, তাঁদের ঋণ দিতে হবে এবং সদস্যদের মধ্যে হতে যাঁরা ঋণ নেবেন, তাঁদের সঠিক সময়ে ঋণের কিস্তি ফেরত দিতে হবে। সদস্যদের মধ্যে যারা সঠিকভাবে শিক্ষা অর্জন করতে পারছে না, তাদের জন্য যথাসাধ্য আর্থিকভাবে সহায়তা প্রদান করতে হবে।

সমবায় সমিতির একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এখানে প্রত্যেক সদস্যের মতামতে গুরুত্ব দিতে হবে এবং সকল বিষয় মুক্ত আলোচনার ব্যবস্থা করতে হবে। সকলের মতামতের ওপর ভিত্তি করে সমবায় হয়ে একটি গঠনমূলক সিদ্ধান্তে পৌঁছতে হবে। সমবায় সমিতিতে যেহেতু একাধিক জনের মূলধন থাকে, সুতরাং সঞ্চয়ের টাকা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বিনিয়োগ করতে হবে। কারণ, সঠিক বিনিয়োগ সমিতির উন্নতিতে সহায়ক হবে।
সমবায় সমিতি যেমন সদস্যদের কল্যাণের জন্য কাজ করবে, ঠিক একইভাবে এর সদস্যদেরও সমিতির প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে এবং সমবায় সমিতির উন্নতিতে অবদান রাখতে হবে প্রতিজন সদস্যকেও।
প্রতিটি সমবায় সমিতির সঠিক কর্মপন্থা ও নীতিমালা বা বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে। এগুলো সমবায় সমিতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং  এগুলো করতে হবে দেশ ও দশের সার্বিক কল্যাণের কথা মাথায় রেখে। যত বেশি সমবায় সমিতি হবে, ততই এই দেশের মানুষ সত্যবদ্ধ হবে। মনে রাখতে হবে, একটি ভালো সমিতি পুরো একটি এলাকা বা দেশের উন্নতিতে অবদান রাখতে পারে, এটার অর্থনৈতিক প্রভাব পড়বে রাষ্ট্রের ওপর যার উৎপাদন ভালো হলে দেশের জন্য ভালো আর উৎপাদন খারাপ হলে দেশের জন্য খারাপ। প্রকৃতপক্ষে সমবায়ের মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তাও অর্জন করা সম্ভব।

উপদেশ! 😛 ছাত্র অবস্থায় তৈরি করুণ একটি ভালো সমবায় সমিতি।

Post a Comment

0 Comments