ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ট্রেনিং-২০২০ (ইঞ্জিনিয়ারিং সমাধান)

ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ট্রেনিং-২০২০ (ইঞ্জিনিয়ারিং সমাধান)
Source pixabay 


ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ট্রেনিং-২০২০ (ইঞ্জিনিয়ারিং সমাধান)



আমরা সকলে জানি। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার যারা পড়ছেন তাদের চার বছর এর মধ্যে ৬ মাসের একটা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেইনিং থাকে। ২০২০ প্রবিধান অনুযায়ী ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এর  ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ট্রেনিং এর সকল নিয়মাবলী নিচে দেওয়া হলোঃ-


যে সকল শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং এর জন্য যাবেন, আশাকরি আজকের লেখাটি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে।

আপনারা জানেন যে, সাধারণত ৮ম পর্বে ট্রেইনিং এর কাজ করতে হয়। সুতরাং ৮ম পর্বে ১৬ সপ্তাহের ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ট্রেনিং আমাদের সবাইকে সম্পন্ন করতে হবে। ১২ সপ্তাহ ইন্ডাষ্ট্রি বা সংস্থায় এবং ৪ সপ্তাহ নিজের ইন্সটিটিউটে বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। ইন্ডাষ্ট্রি বা সংস্থায় এবং ইন্সটিটিউটে ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ট্রেনিং এর মোট ১৬ সপ্তাহের কার্যক্রমের উপর একটি প্রতিবেদন তৈরি করে ট্রেইনিং এ অংশগ্রহণ করা সকল  ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ব্যবহারিক পর্ব সমাপনী পরীক্ষার সময় মূল্যায়নের জন্য পরীক্ষকদের সামনে উপস্থাপন করতে হবে।

কোন শিক্ষার্থীর হাজিরা ৮০% এর নীচে থাকলে ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ট্রেনিং এ অনুত্তীর্ণ বা উত্তীর্ণ হয়নি বলে ঘোষনা করা হয়ে থাকো। সুতরাং ট্রেইনিং করার জন্য এবিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোন কারণ ছাড়া কখনও ট্রেইনিং এ অনুপস্থিত থাকা যাবেনা।

ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ট্রেনিং ক্রেডিট এর একটি ব্যবহারিক বিষয় হিসেবে বিবেচিত হবে, ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ট্রেনিং এর মোট নম্বর হবে ৩০০। উক্ত মোট নম্বরের মধ্যে ২০০ নম্বর ইন্ডাষ্ট্রি বা সংস্থায় ট্রেনিং এর জন্য প্রদান করে বা বন্টন করে এবং ১০০ নম্বর ইন্সটিটিউটে ট্রেনিং এর জন্য নির্ধারিত থাকবে যা ইনিস্টিউট থেকে বন্টন করা হয়।


কোথায় ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ট্রেনিং করবেন ?


ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ট্রেনিং বা আবার আমরা অনেকেই এটাকে বাস্তব প্রশিক্ষণ বলি অর্থাৎ বাস্তব প্রশিক্ষণ বা প্রাকটিক্যাল কাজের মাধ্যমে নিজের কর্মের অভিজ্ঞতা অর্জন। ধরুন আপনি কম্পিউটার টেকনোলজি নিয়ে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করছেন। তো ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করার পর, আপনার দরকার নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর বাস্তব তথা প্রাকটিক্যাল অভিজ্ঞতা বা ধারণা নেবার (যেমন: একটা সফটওয়্যার বানানো, ওয়েবসাইট ডিজাইন করা, নিজ হাতে নেটওয়ার্কিং করা, ইলেকট্রনিক্স কোনো ডিভাইস বানানো ইত্যাদি)।


এক্ষেত্রে সব চেয়ে বেশি ভালো হয়, আপনি যদি কোনো কোম্পানির হয়ে বা কোন ভালো কারখানাতে নিজের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং (বাস্তব প্রশিক্ষণ) এর সুযোগ করে নিতে পারেন।


ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা বাংলাদেশের সম্পদ। আমাদের মধ্যে বেশি আর কম ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী পাওয়ার পরেই সবার জব করার তীব্র আকাংখা থাকে। সবাই ভাবে ডিপ্লোমা শেষ করেই জবে জয়েন করতে পারবে তাদের জন্য সব জায়গায় জব এভেইল্যাবল। ৪ বছর অনেক কষ্ট করে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করার পরই বোঝা যায় বাস্তবতা। জব নেই, জবের জন্য হাহাকার। আসলেই কি জব নেই? উত্তর: আসলেই সবার কাছে জব আছে। তবে জব পাওয়ার জন্য  দক্ষ ও অভিজ্ঞার প্রয়োজন, মানে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকলে অবশ্যই জব পারেন। দক্ষতা হলো কোনো বিষয় সম্পর্কে অগাধ জ্ঞান বা যেকোন একটি বা একাধিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জানা ও সমাধান করতে পারা যা ট্রেনিং করে অর্জন করতে হয়। অন্যদিকে অভিজ্ঞতা হলো রিয়েল ফিল্ডের কাজ যা জব করে অর্জন করতে হয়। এই দুইটির যেকোনো একটি থাকলেই আপনি জব পাবেন কোন পরিশ্রম ও চিন্তা ছাড়া। যেহেতু আপনি সদ্য পাশ করবেন মাঝে শুধু ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং, তাই আপনাকে এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দক্ষ হতে হবে, নিজেকে জবের জন্য শক্তিশালী করে প্রস্তুত করতে হবে। তাহলে আপনাকে আর জব খুঁজতে হবেনা, জবই আপনাকে খুঁজে নিবে।

Post a Comment

0 Comments