কঠিনভাবে না নিয়ে সহজভাবে চিন্তা করুণ (জীবনে কেমন সিদ্ধান্ত নিতে হবে): - TechnicaLbd

চিন্তা

কঠিনভাবে না নিয়ে সহজভাবে চিন্তা করুণ (জীবনে কেমন সিদ্ধান্ত নিতে হবে):


একটি ছোট অনুপ্রেরণামূলক ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম। বেশিক্ষণ সময় লাগবেনা এটা পড়তে। সুতরাং অবশ্যই সম্পূর্ণ পড়ার চেষ্টা করবেন।
পারলে শেয়ার করতে ভুল কবেননা।

আগে আমাদের সমসময়ের জনপ্রিয় কিছু মুখের বাক্য পড়ি।


# জীবন খুব কঠিন রে ভাই,😩
# জীবনে এতো কষ্ট করে কি আর হবে!😤
# জীবন মানে হতাশা! 😢 এমন অনেক রকমের বাক্য রয়েছে যা আমাদের উপরে উঠতে দিচ্ছে না, আমরা যথারীতি চাপা পড়তেই আছি।

বিশ্বাস করুণ এসব বাক্য আপনার আর আমার জন্য নয়। আপনি সংগ্রামী, আপনি সৎ, আপনি পরিশ্রমী, আপনি ভয় কি জিনিস তা জানেন না। তাহলে কেন আপনি এসব অকাম্য বাক্য নিয়ে লাফালাফি করবেন?

আপনি যদি লক্ষ করে দেখেন, তাহলে দেখবেন।  পৃথিবীতে আমাদের সবারই জীবনে এমন দুই ধরনের বন্ধু সবচেয়ে বেশি আছে। যারা আপনার সামনে সবসময় বলতে থাকে “বন্ধু এখন আমার কী হবে, আমি তো পড়ার পড়া কিচ্ছুই পারি না!” আর তার রেজাল্ট বের হলে দেখবেন সে আপনার থেকেও অনেক গুণ এগিয়ে ফাটাফাটি একটা রেজাল্ট পেয়েছে। আবার লক্ষ করলে দেখবেন আমাদের জীবনে আরেক রকমের বন্ধু আছে, তারা তেমন বেশি পড়ালেখা করে না, এবং পড়াশোনা নিয়ে তাদের তেমন কোনো চিন্তা বা মাথাব্যথাও থাকেনা। তারা একশোতে কোন রকমে পাশ নম্বর তুলতে পারলেই হল, এতে তারা খুশি।

এখানে আমাদের জীবনের প্রথম ধরণের বন্ধুদের মনে সবসময় এটা চলতে থাকে যে, আপনার সামনে যদি সে সবসময় নেগেটিভ বাক্য গুলো বলে, তাহলে আপনি তার কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে আপনার পড়াশোনার গতি ১০০ থেকে ৮০ তে নিয়ে আসবেন। যার ফলে সে চিন্তা করে এবার আপনাকে সে টপকাতে সক্ষম হবে। এবং সে আপনাকে এটা বলে আপর দিকে চিন্তা করে এবার বেশি করে ভালোমত পড়াশোনা না করলে রেজাল্ট খারাপ হবে, তার চাকরি-বাকরি হবে না, আপনার চাকরি হয়ে গেলে সে লজ্জা পাবে, তার বিয়ে হবে না, মোট কথা সে আপনাকে টপকাতে না পারলে তার জীবনে কিচ্ছু হবে না! জীবনে তার নেমে আসবে মহা অন্ধকার।

এখানে আপনি যদি হাবলু হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার সেই প্রথম বন্ধু আপনাকে কাজে লাগাতে পারবে। এখানে আপনার কাজ সে যখন কিছুই শিখেনি আপনার দায়িত্ব তার গুলোও শিখে নেওয়া। যেন আপনি তাকে কিছুটা সাহায্য করতে পারেন।
"কখনও কখনও কিছু বিষয়কে পজিটিভ চিন্তা না করে নেগেটিভ চিন্তা শ্রেয়।"
জীবনে সবকিছু যদি পজিটিভ মনে করেন, তাহলে বিদ্যুতের কি হবে? নেগেটিভ ছাড়া কি বিদ্যুৎ শক্তির ব্যবহার চলে!😆

আবার অপর দিকে দ্বিতীয় ধরণের বন্ধুদের মাথায় চলতে থাকে অন্য বিষয়। তাদের চিন্তার কাছে পরীক্ষা স্রেফ একটা পরীক্ষাই। এটা জীবনে মহা কোন ক্ষতি করবেনা। এবার এটাতে খারাপ করলে পরের বার ঠিকই সে ভালো করবে, জীবনে সুযোগের তো আর অভাব নেই, বেচে থাকলে কত পরিক্ষা জীবনে আসবে যাবে। আমাদের জীবনের দ্বিতীয় রকমের বন্ধুদের মনে এমন চিন্তাধারায় বিরাজ করে। এমন বন্ধুদের সাধারণত আপনাকে ব্যবহার করার কোন চিন্তার থাকে না। আসলে তারা কষ্ট করতে ভালবাসে না। তারা বর্তমান সুযোগের থেকেও ভবিষ্যত সুযোগকে বেশিই প্রধাণ্য দেয়। এসব বন্ধুরা আপনার জীবন ভালো কোন ভূমিকা রাখবেনা। সুতরাং এদের থেকেও দূরে সরে যেতে হবে।

তাহলে সবমিলিয়ে যেটা দেখা যাচ্ছে, দুই জন বন্ধুর স্রেফ দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা বলে তাদের পরীক্ষা নিয়ে ধারণা বেমালুম আলাদা হয়ে যাচ্ছে!

তাদের চিন্তা ধারা ভিন্ন হলেও তাদের জীবনটা কিন্তু এক। আমার আর আপনার জীবনও ঠিক তাদের মতই। তাদের চিন্তা ভাবনা যতই আমাদের জীবনে প্রভাব ফেলুক, আমরা তাদের চিন্তা ধারাকে কখনও মূল্যায়ন করবোনা।

আমরা কারো ক্ষতি করে নিজের ভালো করার চেষ্টা করবো না৷ যেমনটা প্রথম বন্ধু করে। আবার আমরা জীবনটাকে এতোটাই সহজ করে নিব না, যেমনটি দ্বিতীয় বন্ধুরা চিন্তা করে।

আপনার চারপাশে তাকালে দেখতর পাবেন, আমাদের সাথে চলাফেরা করে এমন প্রচুর মানুষ আছে যারা অনেক কিছু করেও জীবনে সুখী না, তাদের কাছে জীবনটাই একটা হতাশার নাম, আসল কথা তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে সবকিছুই কঠিন। তারা অনেক কিছু করলেও সেগুলোকে তাদের কাছে অনেক কম মনে হয়!
যেমনটা প্রথম বন্ধু মনে করেন।

আবার আপনি লক্ষ করলে দেখবেন, কিছু মানুষ আবার জীবনটাকে এমনটাই সহজভাবে নেয়। যেন এটি হারিয়ে আবার তার কাছে ফিরে আসবে। তাদের কাছে সম্ভাবনা এলে তারা তা গুরুত্বপূর্ণ মনে করে গ্রহণ করেনা, সাফল্য পাওয়ার আশায় থাকে, কিন্তু সাফল্যকে গ্রহণ করে না। আবার ব্যর্থতায় ভেঙ্গে না পড়ে তারা নতুন কিছুর পথে এগিয়ে যায়। সবকিছুকে সহজভাবে নেয়ার বিরল প্রতিভা তাদের!

আজকের ব্লগ থেকে আমরা এটা শিক্ষা নিব।  আমার জীবনটাকে আমি কীভাবে গড়ব, সেই সিদ্ধান্ত কিন্তু আমাকেই নিতে হবে।
আমাদের যা করতে হবে, জীবনকে আমরা প্রথম শ্রেণীর সেই বন্ধুদের মত করে বড্ড কঠিন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চালিয়ে নিব, কিন্তু অন্যের ক্ষতি করে নয়। আবার দ্বিতীয় শ্রেণীর এই বন্ধু গুলোর মত সহজ দৃষ্টিভঙ্গিতেও রাখবো, কিন্তু ভবিষ্যতে সাফল্যকে গুরুত্ব না দিয়ে বর্তমানকে বেশি গুরুত্ব দিবো। পছন্দ কিন্তু সব আমাদের হাতেই!

Post a Comment

0 Comments